আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারত- পাক যুদ্ধ আবহের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। নেটিজেনদের দাবি, আইএনএস বিক্রান্ত এবং ইন্ডিয়ান নেভি গুঁড়িয়ে দিয়েছে করাচি বন্দর। ঘটনাটা সত্যি না হলেও আঘাত হানার জন্য প্রস্তুত ছিল ভারতীয় নৌসেনা।

রবিবার তিন সেনা প্রধান এবং ডিজিএমও যে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন তাতে গায়ে কাঁটা দিতে বাধ্য। ভারতীয় নৌসেনার ভাইস অ্যাডমিরাল এ এন প্রমোদ জানালেন, অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন করাচি সহ সমুদ্রে ও স্থলে চিহ্নিত জায়গায় আঘাত হানার জন্য ভারতীয় নৌসেনা সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত ছিল।

ভাইস অ্যাডমিরাল প্রমোদ বলেন, 'ভারতীয় নৌসেনা আরব সাগরে সবসময় প্রস্তুত ছিল। সম্পূর্ণ প্রস্তুতি ও ক্ষমতা সহ নির্ধারিত সময়ে করাচি সহ চিহ্নিত জায়গায় আঘাত হানার জন্য।' তিনি আরও জানান, পাকিস্তানের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ভারতের প্রতিক্রিয়া ছিল 'পরিমিত, সুনির্দিষ্ট, দায়িত্বপূর্ণ।'

নৌসেনার তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, 'সন্ত্রাসবাদী হামলার ৯৬ ঘণ্টার মধ্যেই আরব সাগরে একাধিক অস্ত্র পরীক্ষার মাধ্যমে কৌশল ও পদ্ধতি পুনরায় যাচাই করা হয়। এর ফলে নৌসেনার ক্রু, অস্ত্র, সরঞ্জাম পুনরায় যাচাই করে নেওয়া হয়। যাতে পরিস্থিতি খারাপ হলে অভিযানে নামতে পারে বাহিনী।

উল্লেখ্য, 'অপারেশন সিঁদুর' নামে চালানো এই অভিযানে ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF) ৯টি নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করে হামলা চালায়, যাতে ১০০’র বেশি সন্ত্রাসবাদী নিহত হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী রবিবার জানিয়েছে, এই অভিযানে নিহতদের মধ্যে ১৯৯৯ সালের ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্স বিমান ছিনতাই এবং ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার সঙ্গে জড়িত একাধিক "হাই-ভ্যালু টার্গেট" অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এই হামলা মূলত ৭ই মে পহেললগাঁওতে সন্ত্রাসবাদী হামলার প্রতিশোধ হিসেবে চালানো হয়। দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই জানান, “এই হামলা ছিল সম্পূর্ণরূপে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী এবং সাধারণ নাগরিকদের ক্ষতি এড়াতে সবরকম সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।” তাঁর সঙ্গে ছিলেন এয়ার মার্শাল অবধেশ কুমার ভরতি, ভাইস অ্যাডমিরাল এএন প্রমোদ ও মেজর জেনারেল সন্দীপ এস শার্দা।